পরিবর্তে, সতীর্থ অ্যাডাম জাম্পা মাঠে এসে ফিরে গেছেন, একাধিকবার বাউন্ডারি লাইনের কাছাকাছি পরে। ফিজিও-অধিনায়কও শয়তানভাবে মাঠ থেকে উঠে যাওয়ার অনুরোধ করেছেন, কিন্তু ম্যাক্সওয়েল সেই চেষ্টা থেকে বাইরে আসেননি। এই ঘূর্ণিঝড় আর টর্নেডোকে কে আর রুখতে পারে? আফগানিস্তানও সেই চেষ্টা থেকে বাইরে আসেননি। ম্যাক্সওয়েলের আদর্শ ইনিংসের পর এই সময়ে, জাম্পা তার অনুভবের দায়িত্ব নেয়ে তার দক্ষতা দেখাতে চেষ্টা করছেন, কিন্তু আজ ম্যাক্সওয়েল কাউকে সাম্প্রদায়িক প্রতিবন্ধিত করতে দিয়ননি। ক্রিকেটের এই মোমেন্ট স্মৃতির জন্য অবাধ্য।
আফগান বোলারদের বিচেতনে ম্যাক্সওয়েল প্রাকট্যে এক মহা-জাদুকরের মতো পরিণত হয়েছেন, যেন তারা কেন হচ্ছে তা ধারণা না করত। আফগানিস্তান দলের জন্য মৃত্যুর ছায়া ছোঁয়া পরেই ম্যাক্সওয়েল এমন একটি ইনিংস সরানো হয়েছে, যা দেশের জনগণের অপেক্ষা অতিক্রম করেছে। এই পরিপ্রেক্ষিতে, এই ইনিংস দেখে অবিশ্বাস্য ছিল, এবং তা প্রশংসা ও মহৎ অনুভূতির মুখরিত দিয়েছে।
জুলাইয়ান ক্রিকেটার শোয়েব আখতার ম্যাক্সওয়েলের বিশেষ মানসিক ও শারীরিক প্রতিভার সাক্ষী হওয়ার জন্য এই ইনিংসকে ক্রিকেটের ইতিহাসের সেরা ইনিংস হিসেবে স্বীকৃতি দিয়েছেন। এই মুহূর্তটি স্মরণীয় করে রাখার জন্য তিনি ব্যক্তিগতভাবে তার টুইটার পেজে মন্তব্য করেছেন।
এই অসাধারণ ইনিংস তার শক্তিশালী প্রদর্শনের মধ্যে মূলত জীবন্ত করে এবং বাংলাদেশের সাবেক ফাস্ট বোলার ইরফান পাঠানের মত উত্সাহী বিবৃতির কাছে সার্বিকভাবে সমর্থিত হয়েছে। আফগানিস্তানের দলের খেলোয়াড়রা ম্যাচের আগে ইরফানের বাড়িতে দাওয়াতে গেছেন। তিনি সম্ভবত জানতে চেয়েছিলেন যে আফগানিস্তান জিততে যাচ্ছে। তবে, ম্যাক্সওয়েলের শানদার ইনিংস আফগানিস্তানের সব পর্যায়ে চেতনা তৈরি করে রেখেছিল। ইরফান পাঠান এই মহৎ ইনিংসকে জীবনের সেরা দৃষ্টান্ত হিসেবে মনে রাখেন। তিনি তার ইনস্টাগ্রাম পোস্টে লিখেছেন, ‘মানতে হলে, কিছু ম্যাচ জিততে হয়, ম্যাক্সওয়েলের মত ইনিংস দেখে আপনি দাঁড়িয়ে করতালি বাজাতে বাধ্য হবেন। এটি এমন একটি ইনিংস যা আপনার জীবনে চিরস্থায়ী জাগ্রতি তৈরি করে রাখবে।’
0 মন্তব্যসমূহ