Header Ads Widget

অভিনেত্রী হোমায়রা হিমুর মৃত্যুর রহস্য

 

দুই দশক বেশি সময় ধরে হোমায়রা হিমু অভিনয় করছেন, তবে কয়েক বছর ধরে অভিনয়ে একটি নিয়মিত প্রক্রিয়া নেই। এ সময়ে, তাঁর মধ্যে একরকম অভিমান আসে যা নতুন ব্যাপার। আবেগ, মনোনিবেশ নিয়ে তিনি বিভিন্ন সময় সংবাদমাধ্যমে আলাপ করেছেন, কোন কারণে তাকে অভিনয়ে সুযোগ দেওয়া হয়নি, পরিচালক এবং প্রয়োজকদের দ্বারা।


তবে, সোমবার সন্ধ্যায়, তার অপেক্ষিত মৃত্যুর সংবাদ সামগ্রিকভাবে প্রকাশ পেয়েছে। প্রথম আলোকে উর্মিলা শ্রাবন্তী এবং আহসান হাবীব নাসিম, যেখানে তাঁর মৃত্যু নিশ্চিতভাবে বেড়ে উঠেছে, তা বলেছেন যে তাকে উত্তরার বাংলাদেশ মেডিকেল হাসপাতালে রাখা হচ্ছে। মৃত্যুর উৎপাদন সম্বন্ধে রহস্যময় কিছু তথ্য প্রকাশ হয়েছে, এবং কিছুই নিশ্চিত হয়নি।


২০০৫ সালে বিনোদন জগতে হুমায়রা হিমু হয়ে কাজ শুরু করেন। তখন তার নাম হোমায়রা হিমু ছিল, যত্না করে পরে হোমায়রা হিমু হয়ে গেলেন। এই নাম পরিবর্তনের পেছনে অভিনেতা টনি ডায়েসের ভূমিকা ছিল। তার সাথে একই সাক্ষাৎকারে হিমু বলেছিলেন, "টনি ভাইয়ের সঙ্গে প্রথম একটি টেলিফিল্ম করি। উনি তখন আমাকে বলেন, 'তুমি দুই অক্ষরের নাম দাও।' এর আগে আমি কেবল "হিমু" বলে পরিচয় দিতাম। তখন টনি ভাই বলেন, 'পৃথিবীর যত বিখ্যাত মানুষ আছে, সবার নাম দুই অক্ষরের।' এর পর থেকেই আমি হোমায়রা হিমু হয়ে যাই।"

হিমু স্কুলে ছাত্রী হলেও, সেই সময়ে সে স্কুলের একটি বড় বোনের শ্যাম্পু বিজ্ঞাপনে অভিনয় করেন। ঢাকা থেকে শুটিং শেষে স্কুলে ফিরে সবাই তাকে দেখতে আসে। তখন তার ইচ্ছা টেলিভিশনে কাজ করার দিকে এবে। তবে, ছোট্বেলায় তার ইচ্ছা ছিল এয়ার হোস্টেস হওয়ার, কিন্তু ঘটনাচক্রে ও অভিনেত্রী হয়ে ওঠে। টেলিভিশন নাটকে অভিনয় শুরুর পর, নোয়াখালীর আঞ্চলিক ভাষায় তার অভিনয় দর্শকের মধ্যে আকর্ষণ সৃষ্টি করে। তার নাটক "সোনাঘাট," "চেয়ারম্যান বাড়ি," "বাটিঘর," "শোনে না সে শোনে না," "কমেডি-৪২০," "চাপাবাজ," "অ্যাকশান গোয়েন্দা," "ছায়াবিবি," "এক কাপ চা," "এ কেমন প্রতিদান," "হুলো বিড়াল," "ছন্নছাড়া ৪২০," "অ্যাম্বুলেন্স ডাক্তার," "পাগলা প্রেমিক" ইত্যাদি নাটকে তাকে দেখা গেছে।
২০১১ সালে "আমার বন্ধু রাশেদ" চলচ্চিত্রে হুমায়রা হিমু হিসেবে মুক্তি পেয়েছেন। সিনেমায়, তাকে তরু আপা চরিত্রে দেখা যায।

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ